নবম -দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অধ্যায় – ৮:বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ ও প্রশাসন ব্যবস্থা | সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতি

এস. এস. সি বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অধ্যায় – ৮:বাংলাদেশসরকারেরবিভিন্ন অঙ্গ ওপ্রশাসনব্যবস্থা

এই নোট টির ডাউনলোড লিংক পোস্টের নিচে পাবেন

বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গসমূহ

প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও শাসন সংক্রান্ত কার্যাবলিঃ সংসদ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। 

 

প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও শাসন সংক্রান্ত কার্যাবলিঃ সংসদ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। 

বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থা

বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থা

 

বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থা

প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান। তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী সংসদ নেতা, মন্ত্রিসভার প্রধান, তিনিই সকল মন্ত্রী পছন্দ করে মন্ত্রিসভা গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী যেকোনো মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা সংসদের আস্থা হারালে সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়।  রাষ্ট্রপতি যাকে সংসদের অধিকাংশ সদস্যদের আস্থাভাজন মনে করেন তাকেই প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। 

জেলা প্রশাসন

জেলা প্রশাসন বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর তৃতীয় স্তর। প্রত্যেক বিভাগ আবার কয়েকটি জেলায় বিভক্ত। বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৪ টি জেলা রয়েছে। জেলা প্রশাসক জেলার মধ্যমণি। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন অভিজ্ঞ সদস্য ও প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তা। বিভাগীয় কমিশনারের পরই তার স্থান।জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রের যোগসূত্র বিদ্যমান। বাংলাদেশ সচিবালয়ে জেলা সংক্রান্ত গৃহীত যাবতীয় সিদ্ধান্ত সরাসরি জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরিত হয়। জেলা প্রশাসক কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা প্রশাসন পরিচালনা করেন। জেলা প্রশাসককে কেন্দ্র করেই জেলার প্রশাসন পরিচালিত ও আবর্তিত হয়। জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্য বিভাগীয় কমিশনারের কাছে দায়ী। বিভাগীয় কমিশনার আবার যাবতীয় কার্যাবলির জন্য কেন্দ্রের নিকট দায়ী। বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে জেলা ও কেন্দ্রের মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়।জেলা প্রশাসকের কার্যাবলি ব্যাপক।

জেলা প্রশাসকের কার্যাবলি

১ প্রশাসন সংক্রান্ত কাজঃ বাংলাদেশ সচিবালয়ে গৃহীত শাসনসংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজ তদারকি করা, সরকারি নীতি নির্ধারণ এবং সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় সরকারকে সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা জেলা প্রশাসকের শাসনসংক্রান্ত কাজ।

২ রাজস্ব সংক্রান্ত কাজঃ জেলা প্রশাসক প্রধান কালেক্টর হিসেবে জেলার ভূমি রাজস্ব ও অন্যান্য কর ধার্য ও আদায় করেন। এ সকল কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাকে সাহায্য করেন।

৩ সমন্বয় সংক্রান্ত কাজঃ সমন্বয় সংক্রান্ত বিষয়ে একজন জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব কম নয়। তিনি জেলার উন্নয়নের জন্য জেলার গণ্যমান্য লোকদের সাথে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধানের লক্ষ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন।

৪ স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত কাজঃ স্থানীয় শাসনসংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি স্বাধীন স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেখাশুনা করেন। ডেপুটি কমিশনার বা জেলা প্রশাসক মানবতার সেবামূলক ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হন।

৫ মানবতামূলক কাজঃ ডেপুটি কমিশনার বা জেলা প্রশাসক মানবতার সেবামূলক ভূমিকায় ও অবতীর্ণ হন। তিনি জেলার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে জনগণের জন্য সেবামূলক কাজের দ্বারা তাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন। এসময় কেন্দ্রীয়ভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ, কাপড় ও ঔষধ জেলার জনগণের বিতরণ করেন।

৬ বিচার সংক্রান্ত কাজঃ জেলা প্রশাসক জেলার বিচারকও বটে। তিনি একজন প্রথম শ্রেণির বিচারক হিসেবে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি করেন। বিচারের ক্ষেত্রে তিনি দুবছর কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করতে পারেন। এছাড়া রাজস্ব সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান তিনিই করেন।

৭ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত কাজঃ জেলার শিক্ষা বিষয়ক সকল প্রকার তত্ত্বাবধান এবং জাতীয় দিবস উদযাপন ও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

৮ শান্তি রক্ষামূলক কাজঃ জেলার পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় নিজ জেলার শান্তি প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে। 

৯ বিবিধঃ জেলা প্রশাসক জেলার প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে বহুবিধ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলার প্রকাশনা ও সংবাদপত্র বিভাগের প্রধান নিয়ন্ত্রক।

জাতীয় সংসদের অর্থসংক্রান্ত কার্যাবলি

জাতীয় সংসদের অর্থসংক্রান্ত কার্যাবলিঃ রাষ্ট্রের অর্থ কীভাবে ব্যয়িত হবে তার ওপর সংসদ দৃষ্টি নিবন্ধ রাখে। সংসদের অনুমোদন ও কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো প্রকার ব্যয় করা যায় না। আবার কোনো কর আরোপ বা কর সংগ্রহ করতেও সংসদের অনুমতি নিতে হয়। প্রত্যেক অর্থবছরে সরকার সংসদে বাজেট উপস্থাপন করে। সংসদ অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী সরকারকে চলতে হয়। সংযুক্ত তহবিলের ব্যয়সমূহের ওপরও সংসদে আলোচনা হয়। মোটকথা, রাষ্ট্রীয় ও সরকারি সকল ব্যয় সংসদের সম্মতির ভিত্তিতে করতে হয়

বিভাগীয় প্রশাসন

কেন্দ্রের পরেই বাংলাদেশে বিভাগীয় প্রশাসনের স্থান। বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমগ্র বাংলাদেশকে ৭টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে-১. ঢাকা বিভাগ, ২. চট্টগ্রাম বিভাগ, ৩. রাজশাহী বিভাগ, ৪. খুলনা বিভাগ, ৫. বরিশাল বিভাগ, ৬. সিলেট বিভাগ ও ৭. রংপুর বিভাগ। বিভাগীয় প্রশাসনের শীর্ষে অবস্থান করেন বিভাগীয় কমিশনার। একজন অতিরিক্ত কমিশনার এবং কমিশনারের ব্যক্তিগত সহকারীসহ বহুসংখ্যক কর্মচারী বিভাগীয় প্রশাসনে কর্মরত থাকেন।

বিভাগীয় কমিশনার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন প্রধান কর্মকর্তা। তিনি একজন যুগ্ম সচিবের সমমর্যাদা সম্পন্ন কর্মকর্তা। তিনিমূলত বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব বিষয়ক কর্মকর্তা। বিভাগীয় কমিশনার জেলা প্রশাসকদের কার্যাবলি তদারকি করেন। তিনি বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সাথে সংযোগ স্থাপনের সেতুবন্ধন। সাহায্য ও সেবামূলক কাজ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদিও তাকে করতে হয়। বস্তুত তিনি বাংলাদেশ সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।

ইউনিয়ন পরিষদের জনশৃংখলা রক্ষা

গ্রামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের কিছু চৌকিদার ও দফাদার নিয়োগ করা, অপরাধ, বিশৃঙ্খলা ও চোরাচালান বন্ধের জন্য ব্্যবস্থা গ্রহণ, ঝগড়া-বিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসনে ভূমিকা পালন, গ্রাম আদালত সম্পর্কিত দায়িত্ব সম্পাদন, পারিবারিক বিরোধের আপোষ- মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  

জাতীয় সংসদ

বাংলাদেশের আইনসভার নাম ‘জাতীয় সংসদ’। জাতীয় সংসদ আইন বিভাগের একটি প্রধান প্রতিষ্ঠান। সংসদ প্রণীত আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়। আইন বিভাগ সরকারের একটি অংশ।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদ মোট ৩৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে ৩০০ জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। জাতীয় সংসদে ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তারা সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।সংরক্ষিত আসন ছাড়াও মহিলারা সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে সদস্যদের ভোটে একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশে আইন প্রণয়ন, শাসন বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ, অর্থসক্রান্ত তদারকি নির্বাচন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বৃদ্ধি পেয়েছে। সংসদের মেয়াদ ৫ বছর।

শাসন বিভাগ

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত এবং এ নিয়ন্ত্রণটি আইন বিভাগের দ্বারা কার্যকর করা হয়।প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভাকে শাসনসংক্রান্ত সকল কাজের জন্য সংসদের কাছে দায়ী থাকতে হয়। সরকার সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য।সংসদ সরকারের যেকোনো ভালো কাজের যেমন প্রশংসা করতে পারে তেমনি সরকারের যেকোনো মন্দ কাজের সমালোচনাও করতে পারে। সংসদ সদস্যের আস্থা হারালে যেকোনো মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অর্থ হলো সম্পূর্ণ মন্ত্রিসভার পদত্যাগ। ঐ অবস্থা হলে দেশে আবার নতুন করে সাধারণ নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। 

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলিঃ

১ শাসন বিষয়ক ও নির্বাহী ক্ষমতাঃ প্রধানমন্ত্রী পুরো শাসনব্যবস্থায় কার্যকর নেতৃত্ব প্রদান করেন। সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেন। সকল নির্বাহী ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির নামে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। বিচার, অর্থ, পররাষ্ট্র এবং শাসন বিষয়ক সকল কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও মতামত অনুযায়ী পরিচালিত হয়।

২ আইন সংক্রান্ত কাজঃ আইন প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জাতীয় সংসদে সরকারি বিলের পৃষ্ঠপোষকতা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে কেন্দ্র করে সংসদের আইন প্রণয়ন বিষয়ক অধিকার পরিচালিত  হয়। 

৩ সংসদ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাঃ প্রধানমন্ত্রী সংসদের নেতা। প্রধানমন্ত্রী সংসদের সাফল্যজনক পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা পালন করেন। বিরোধী দলের আস্থা অর্জন ও সহযোগিতা পেতে তিনি নেতৃত্বদান করেন। সংসদে সকল সদস্যদের অধিকার সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অনেক।

৪ অর্থ বিষয়ক ক্ষমতাঃ প্রধানমন্ত্রী আর্থিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রণয়ন ও সংসদে বিল উত্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রীর বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক নীতিরই প্রতিফলন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী্র পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহে অর্থ মঞ্জুরী প্রদান করেন। 

৫ রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্ব্য়ে প্রধানমন্ত্রীঃ রাষ্ট্রীয় কাজের সমন্ব্য় প্রধানমন্ত্রী করে থাকেন। সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও অধিদপ্তরের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৬ জাতির মুখপাত্র হিসেবেঃ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি জাতির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

৭ দলের নেতাঃ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সরকারি দলের নেতা। সংসদ ও সংসদের বাইরে দলের নীতিনির্ধারণ ও কর্মসূচী বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেন।

সুতরাং প্রধানমন্ত্রী দেশের শাসন পরিচালনা, আইন প্রণয়ন, অর্থব্যবস্থার ওপর তদারকি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সর্বক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। তিনিই সংসদ নেতা এবং শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু। 

জরুরি ক্ষমতা

রাষ্ট্রপতি যদি বুঝতে পারেন যে, যুদ্ধ, বহিঃশুত্রুর আক্রমন বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের বাংলাদেশ বা এর কোনো অংশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক নিরপত্তা সম্মুখীন হয় তাহলে তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন। জরুরি অবস্থাকালে সংবিধানের কিছু বিধান ও মৌলিক অধিকারসমূহ স্থগিত থাকে।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি

১ প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও শাসন সংক্রান্ত ক্ষমতা ও কার্যাবলিঃ সংসদ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে পধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী তার পছন্দমতো মন্ত্রীদের নিয়ে সরকার গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কারও পরামর্শ গ্রহন করেন না। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রীদের নিয়োগ ও তাদের দপ্তর বণ্টন করেন।রাষ্ট্রপতি এটর্নি জেনারেল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মহাহিসাব রক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনারদের নিয়োগ দান করেন।

২ সংসদ ও আইন বিষয়ক ক্ষমতাঃ রাষ্ট্রপতি সংসদ আহবান করেন। প্রতিটি নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের ও প্রতি নতুন বছরের অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণদান করেন। রাষ্টপতির ভাষণের উপর সংসদ আলোচনা করে। সময়ে সময়ে তিনি সংসদে বাণীও প্রেরণ করেন। 

৩ অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতাঃ সংসদ ভেঙ্গে গেলে বা অধিবেশন না না থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন। এ অধ্যাদেশ সংসদের আইনের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন হয়্। 

৪ প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও বিচার সংক্রান্ত কাজঃ রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করেন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কারও পরামর্শ গ্রহন করেন না।  সুপ্রিম কোর্টের অন্য বিচারপতিগণও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন।

৫ ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাঃ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা রয়েছে যেকোনো দন্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার। কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত যে কোনো দণ্ড তিনি মার্জনা করতে পারেন।

৬ অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা ও কাজঃ সরকারি ব্যয়সংক্রান্ত কোনো বেল সংসদে উত্থাপন করতে হলে তাতে রাষ্ট্রপতির সুপারিশ লাগে। 

৭ প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কাজঃ বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিভাগসমূহের সর্বাধিনায়কতা রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যাস্ত। তিনি বহিঃশুত্রুর আক্রমন মোকাবিলার জন্য যেকোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করতে পারেন। 

অভিশংসন

সংসদ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করতে পারে। সংবিধান লঙ্ঘন, গুরুতঁর  অপরাধ, দৈহিক ও মানসিক অসুস্থতা ও অক্ষমতার জন্য সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও ন্যায়পালকে অপসারণ করার  ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে। 

স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন

স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন বলতে নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক জনগণের স্বশাসনকে বোঝায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা তা পরিচালিত হয় এবং ওই জনগণের নিকট তা দায়িত্বশীল থাকে। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ১ আইনগত ভিত্তি, ২ নির্বাচিত সংস্থা, ৩ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ, ৪ করারোপের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের ক্ষমতা, ৫ বিস্তৃত ও বহুমুখী কার্যাবলি, ৬ কেন্দ্রীয়/বিভাগীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালনা। বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন। 

ইউনিয়ন পরিষদ

ইউনিয়ন পরিষদ এদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান। সেই ব্রিটিশপূর্ব আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির অগ্রযাত্রা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, গ্রাম এলাকায় সত্যিকার একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এটি কাজ করছে। ১৮৭০ সালে গ্রাম এলাকার আইনশৃংখলা রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য চৌকিদারি পঞ্চায়েত আইন ১৮৭০ প্রবর্তিত হয়। ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করার জন্য এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। ১৮৮৫ সালে স্থানীয় পর্যায়ে অধিক দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গীয় আইন স্থানীয়পাস করা হয়। এই আইনে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন কমিটি, মহকুমা পর্যায়ে মহকুমা  কমিটি,জেলা পর্যায়ে জেলা বোর্ড গঠন করা হয়। ১৯১৯ সালের পল্লি আইনের চৌকিদারি পঞ্চায়েত ও ইউনিয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়। পাকিস্তান আমলে এর নাম হয় ইউনিয়ন কাউন্সিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ, থানা পরিষদ ও জেলা পরিষদ এই তিন স্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়। ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) সংশোধিত আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। গড়ে ১০-১৫ গ্রাম নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত। এখানে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছাড়াও নয়জন নির্বাচিত সাধারন সদস্য এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে তিন জন সদস্য থাকেন। সংশোধিত আইনে ওয়ার্ড সংখ্যা নয়টিতে উন্নীত করা হয়েছে। মহিলা সদস্যগন প্রতি ৩ ওয়ার্ডে একজন এই ভিত্তিতে পুরুষ ও মহিলা সকলের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন এ পরিষদের কার্যকাল পাঁচ বছর। বাংলাদেশে সর্বমোট ৪,৪৬৬ টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। 

ইউনিয়ন পরিষদের কাজ

ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ প্রধান কার্যাবলি ও ঐচ্ছিক কার্যাবলি।

১. জনশৃঙ্খলা রক্ষাঃ গ্রামে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন কিছু চৌকিদার ও দফাদার নিয়োগ করা, অপরাধ, বিশৃঙ্খলা ও চোরাচালান বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ,ঝগড়া-বিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসনে ভূমিকা পালন, গ্রাম আদালত সম্পকিত দায়িত্ব সম্পাদন, পারিবারিক বিরোধের আপোষ-মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২. জনকল্যাণমূলক কাজ ও সেবাঃ ইউনিয়নে অবস্থিত কৃষি, স্বাস্থ্য,মৎস্য, পশুপালন ও শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার সেবাও কার্যক্রম সম্বন্ধ জনগনকে অবহিতকরণ এবং গ্রামীন অবকাঠামো সংস্থার কর্মসূচীর অধীনে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন, আত্মকর্মসংস্থান ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা ইউনিয়ন পরিষদের প্রধানতম কার্যাবলির মধ্যে পড়ে।
৩. স্থানীয় অর্থনেতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নঃ এলাকার কৃষি উন্নয়নের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়ন সাধন, বাজার সৃষ্টি, মৎস্য চাষ ও পশুপালনের উন্নত পদ্ধতি সর্ম্পকে জনসাধারণকে অবহিতকরণ, উন্নত বীজ, চারা ও সার বিতরণের সুষ্ঠ ব্যবস্থা সৃষ্টি করা, জনগণের আয় বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমের পরামর্শ প্রদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাঁধ নির্মাণ প্রভৃতি কাজ ইউনিয়ন পরিষদ সম্পাদন করে।
৪. প্রশাসনিক কাজঃ সচিব, গ্রাম পুলিশ ও পরিষদের অন্যান্য  কর্মচারীদের পরিচালনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রন করা, সকল সভা আহবান, বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রেরণ করা, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দায়িত্ব পালন ইত্যাদি ও ইউনিয়ন পরিষদ করে থাকে। 

পৌরসভার শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ

পৌরসভার শিক্ষা সংক্রান্ত কাজঃ পৌরসভায় শিক্ষাসংক্রান্ত কাযৃাবলি হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হোস্টেল নির্মাণ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি, বিনামূল্যে বই বিতরণ, বাধ্যতামূলক ও গণশিক্ষার ব্যবস্থাকরণ ইত্যাদি।

 

কেন্দ্রীয় শাসন

সেক্রেটারিয়েট বা সচিবালয় বাংলাদেশ প্রশাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রে অবস্থিত যা শাসনব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্র স্বরূপ।সরকারি যাবতীয় সিদ্ধান্ত সর্বপ্রথম সচিবালয়ে গৃহীত হয়। সাধারণত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তাঁর বিভাগসমূহের অফিসগুলোকে যৌথভাবে সচিবালয়  বলে। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দানুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও তাঁর বিভাগসমূহের অফিসগুলোকে যৌথভাবে সচিবালয় বলে। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দানুযায়ী প্রতিটি মন্ত্রণালয় একজন মন্ত্রী নিযুক্ত হন।  মন্ত্রী হলেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও মন্ত্রণালয়ের প্রধান। মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একজন সচিব। সরকারি কর্মকমিশন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে সেবা, যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ এবং নির্দিষ্ট পদসোপানের মধ্যে দিয়ে তিনি সচিব পদে উন্নীত হন। মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় কাজের ভার সচিবের ওপর ন্যস্ত থাকে। তিনি যাবতীয় কাজে সহায়তা করেন। মন্ত্রণালয় পরিচালনার ব্যপারে মন্ত্রী সচিবের নিকট হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সচিব মন্ত্রীর সহচর হিসেবে কাজ করেন। আলাপ- আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে উভয় উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে সচেষ্ঠ হন। এ দৃষ্টিতে মন্ত্রী ও সচিব একে অপরের ওপর নির্ভরশীল ও আস্থাভাজন।

স্থানীয় প্রশাসন

স্থানীয় শাসন বলতে স্থানীয় পর্যায়ের বিভাগীয়/জেলা এবং উপজেলা শাসন ব্যবস্থাকে বুঝায়। প্রশাসনের সুবিধার্থে এর সৃষ্টি। এ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় শাসন ও নিয়ন্ত্রণ নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, রাজস্ব আদায় ও সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই এর মুখ্য উদ্দেশ্য। এ ব্যবস্থায় স্থানীয় শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিবৃন্দ সরকারের এজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য। যেমন- আমাদের দেশে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসক এবং থানা নির্বাহী অফিসার।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলিঃ

১ আইন প্রণয়ন ক্ষমতাঃ     সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নামে একটি আইনসভা থাকবে এবং এর উপর প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ন্যস্ত হবে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদ যেকোনো নতুন আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করতে পারে। সংসদ  আইনের মাধ্যমে যেকোনো সংস্থা বা ক র্তৃপক্ষকে আদেশ প্রদান, বিধি, উপ- বিধি ও প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা দিতে পারে। সংসদ প্রণীত আইনে রাষ্ট্রপতি ১৫দিনের মধ্যে সম্মতি দান করবেন।

২ সরকার গঠন বিষয়ক ক্ষমতাঃ      সরকার গঠনে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংসদের আস্থাভাজন ব্যক্তই প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং তিনি মন্ত্রীসভা গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী সংসদের আস্থা হারালে সরকারের পতন হয়।  

৩  অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতাঃ          রাষ্ট্রের অর্থ কিভাবে ব্যয়িত হবে তাঁর ওপর সংসদ দৃষ্টি নিবন্ধ রাখে। সংসদের অনুমোদন ও কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো প্রকার ব্যয় করা যায় না। আবার কোনো কর আরোপ বা কর সংগ্রহ করতেও সংসদের অনুমতি নিতে হয়। প্রত্যেক অর্থবছরে সরকার সংসদে বাজেট উপস্থাপন করে। সংসদ অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী সরকারকে চলতে হয়।সংযুক্ত তহবিলের ব্যয়সমূহের উপরও সংসদে বাজেট উপস্থাপন করা হয়। মোটকথা রাষ্ট্রীয় ও সরকারি সকল ব্যয় সংসদের সম্মতির ভিত্তিতে করতে হয়। 

৪ বিচার বিষয়ক ক্ষমতাঃ        সংবিধান লঙ্ঘন, গুরুতর অরাধ, দৈহিক ও মানুসিক অসুস্থতা ও অক্ষমতার জন্য সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও ন্যায়পালকে অপসারণ করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে। এ জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিচার সংক্রান্ত কাজ সংসদ পরিচালনা করে।

৫  নির্বাচন সংক্রান্ত কাজঃ      জাতীয় সংসদ নির্বাচন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, ন্যায়পাল ইত্যাদি পদের নির্বাচনি ক্ষমতা জাতীয় সংসদের ওপর ন্যাস্ত। সংসদের বিভিন্ন কমিটি নির্বাচন করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে।  

৬ সংবিধান সংরক্ষণ ও সংশোধনঃ       সংবিধানের আমান্তদার হিসেবে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীও সংসদে উত্থাপিত ও গৃহীত হয়।

৭ অন্যান্য ক্ষমতাঃ       সুপ্রিম কোর্ট ব্যতীত অন্যান্য আদালত প্রতিষ্ঠার জন্য সংসদ আইন প্রণয়ন করতে পারে। যুদ্ধ ঘোষণা ও আন্ত্ররজাতিক চুক্তি অনুমোদন করার ক্ষমতাও সংসদের। স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত বিধি ও প্রবিধান সংসদ প্রণয়ন করে।

আইন বিভাগ

 সরকারের ৩ টি বিভাগের একটি হচ্ছে আইন বিভাগ। আইন বিভাগের প্রধান কাজ হল দেশের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন ও আইনের পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করা। আইন বিভাগের একটি অংশ হল আইনসভা। আইনসভা নির্বাচিত এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। এটি আইন প্রনয়ণ করে। আইনসভার প্রণীত আইন রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়।প্রত্যেক রাষ্ট্রের আইনসভা আছে এবং তা বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেস। ব্রিটেনের আইনসভা পার্লামেন্ট এবং অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রের আইনসভা মজলিশ নামে পরিচিত। কোন দেশের আইনসভা এক কক্ষবিশিষ্ট এবং কোন দেশের আইনসভা দ্বি কক্ষবিশিষ্ট। দ্বি কক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় উচ্চ পরিষদ ও নিম্ন পরিষদ থাকে। বাংলাদেশের আইনসভা অবশ্য এক কক্ষবিশিষ্ট। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের আইনসভা দ্বি কক্ষবিশিষ্ট।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি নিম্নে আলোচনা করা হল-

ক। আইন প্রণয়ন ক্ষমতাঃ        সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নামে একটি আইনসভা থাকবে এবং এর উপর প্রজাতন্ত্রের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ন্যস্ত থাকবে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদ যেকোনো নতুন আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করতে পারে। সংসদ  আইনের মাধ্যমে যেকোনো সংস্থা বা ক র্তৃপক্ষকে আদেশ প্রদান, বিধি, উপ- বিধি ও প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা দিতে পারে। সংসদ প্রণীত আইনে রাষ্ট্রপতি ১৫দিনের মধ্যে সম্মতি দান করবেন।

খ। সরকার গঠন বিষয়ক ক্ষমতাঃ        সরকার গঠনে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংসদের আস্থাভাজন ব্যক্তই প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং তিনি মন্ত্রীসভা গঠন করেন। প্রধানমন্ত্রী সংসদের আস্থা হারালে সরকারের পতন হয়।  

গ। অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতাঃ                   রাষ্ট্রের অর্থ কিভাবে ব্যয়িত হবে তাঁর ওপর সংসদ দৃষ্টি নিবন্ধ রাখে। সংসদের অনুমোদন ও কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো প্রকার ব্যয় করা যায় না। আবার কোনো কর আরোপ বা কর সংগ্রহ করতেও সংসদের অনুমতি নিতে হয়। প্রত্যেক অর্থবছরে সরকার সংসদে বাজেট উপস্থাপন করে। সংসদ অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ী সরকারকে চলতে হয়। সংযুক্ত তহবিলের ব্যয়সমূহের উপরও সংসদে আলোচনা হয়। মোটকথা রাষ্ট্রীয় ও সরকারি সকল ব্যয় সংসদের সম্মতির ভিত্তিতে করতে হয়।

ঘ। বিচার বিষয়ক ক্ষমতাঃ        সংসদ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করতে পারে  সংবিধান লঙ্ঘন, গুরুতর অপরাধ, দৈহিক ও মানুসিক অসুস্থতা ও অক্ষমতার জন্য সংসদ রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। প্রয়োজনে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও ন্যায়পালকে অপসারণ করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে। এ জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিচার সংক্রান্ত কাজ সংসদ পরিচালনা করে।

ঙ।  নির্বাচন সংক্রান্ত কাজঃ        জাতীয় সংসদ নির্বাচন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, ন্যায়পাল ইত্যাদি পদের নির্বাচনি ক্ষমতা জাতীয় সংসদের ওপর ন্যাস্ত। সংসদের বিভিন্ন কমিটি নির্বাচন করার ক্ষমতাও সংসদের রয়েছে।  

চ। সংবিধান সংরক্ষণ ও সংশোধনঃ       সংবিধানের আমান্তদার হিসেবে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংবিধানের যেকোনো সংশোধনীও সংসদে উত্থাপিত ও গৃহীত হয়।

ছ। অন্যান্য ক্ষমতাঃ       সুপ্রিম কোর্ট ব্যতীত অন্যান্য আদালত প্রতিষ্ঠার জন্য সংসদ আইন প্রণয়ন করতে পারে। যুদ্ধ ঘোষণা ও আন্ত্ররজাতিক চুক্তি অনুমোদন করার ক্ষমতাও সংসদের। স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত বিধি ও প্রবিধান সংসদ প্রণয়ন করে। 

বিচার বিভাগ

সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। সরকারের যে বিভাগ আইন আনুসারে বিচার কাজ পরিচালনা করে থাকে তাকে বিচার বিভাগ বলে। আইন ভঙ্গকারীকে শাস্তি প্রদান, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার রক্ষা বহুলাংশে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। রাষ্ট্রের সকল আদালত এবং বিচারক নিয়ে বিচার বিভাগ গঠিত।

আইন বিভাগ

সরকারের ৩ টি বিভাগের একটি হচ্ছে আইন বিভাগ। আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োজনবোধে প্রচলিত আইনের সংশোধন বা রদবদল করে থাকে। আইন বিভাগের একটি অংশ হল আইনসভা। আইনসভা আইন প্রণয়ন করে। আইনসভা নির্বাচত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। আইনসভা প্রণীত আইন রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মতি লাভের পর কার্যকর হয়।প্রত্যেক রাষ্ট্রের আইনসভা আছে এবং তা বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেস। ব্রিটেনের আইনসভা পার্লামেন্ট এবং অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রের আইনসভা মজলিশ নামে পরিচিত। কোন দেশের আইনসভা এক কক্ষবিশিষ্ট এবং কোন দেশের আইনসভা দ্বি কক্ষবিশিষ্ট। দ্বি কক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় উচ্চ পরিষদ ও নিম্ন পরিষদ থাকে। বাংলাদেশের আইনসভা অবশ্য এক কক্ষবিশিষ্ট। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের আইনসভা দ্বি কক্ষবিশিষ্ট।

বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অধ্যায় – ৮ এর বহুনির্বাচনী প্রশ্ন পিডিএফ ডাউনলোড

১. বিচার বিভাগের প্রধান কাজ কী?
ক) অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া
খ) আইন মান্য করা
গ) আইন প্রণয়ন করা
ঘ) অপরাধীকে গ্রেফতার করা
সঠিক উত্তর: (ক)

২. ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের আইনসভা কেমন?
ক) এককক্ষবিশিষ্ট
খ) দ্বিকক্ষবিশিষ্ট
গ) তিনকক্ষবিশিষ্ট
ঘ) চারকক্ষবিশিষ্ট
সঠিক উত্তর: (খ)

৩. বঙ্গীয় স্থানীয় আইন পাস হয় কত সালে?
ক) ১৯৭৫
খ) ১৮৮০
গ) ১৮৮৫
ঘ) ১৮৯০
সঠিক উত্তর: (গ)

৪. রাষ্ট্রপতি কাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন?
ক) সংসদের অধিকাংশ সদস্যের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে
খ) স্পিকারের সবচেয়ে আস্থাভাজন ব্যক্তিকে
গ) সংসদ সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত ব্যক্তিকে
ঘ) কোনো দলের প্রধানকে
সঠিক উত্তর: (ক)

৫. অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে বলা হয় –
i. প্রধানমন্ত্রী যেকোনো সময় অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন
ii. বিশেষ কারণে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন
iii. প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশ বাতিল করতে পারেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)

৬. রাষ্ট্রীয় এবং সরকারি সকল আয়-ব্যয়ে সংসদের কী ভূমিকা রয়েছে?
ক) আয়-ব্যয়ে সংসদের সম্মতির প্রয়োজন হয়
খ) আয়-ব্যয়ে সংসদের কোনো ভূমিকা নেই
গ) আয়-ব্যয়ে সংসদ পরামর্শ প্রদান করে
ঘ) আয়-ব্যয়ে সংসদের কাছে হিসাব দিতে হয়
সঠিক উত্তর: (ক)

৭. বাংলাদেশের সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীরা কাদের ভোটে নির্বাচিত হন?
ক) স্পিকারের
খ) সংসদ সদস্যদের
গ) ডেপুটি স্পিকারের
ঘ) প্রধানমন্ত্রীর
সঠিক উত্তর: (খ)

৮. শাসন বিভাগের অপর নাম কী?
ক) প্রশাসনিক বিভাগ
খ) নির্বাহী বিভাগ
গ) প্রধান বিভাগ
ঘ) আন্তঃপ্রধান বিভাগ
সঠিক উত্তর: (খ)

৯. ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে আইনের মাধ্যমে কয়টি কর্পোরেশনে বিভক্ত করা হয়েছে?
ক) দুই
খ) তিন
গ) চার
ঘ) পাঁচ
সঠিক উত্তর: (ক)

১০. কোন কাজটি সংসদ করতে পারে না?
ক) সংসদ দ্বিকক্ষ করতে আইন প্রণয়ন
খ) রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা হ্রাস করতে আইন প্রণয়ন
গ) প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আইন প্রণয়ন
ঘ) সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১১. রাষ্ট্রীয় কোনো মন্ত্রীকে কে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন?
ক) রাষ্ট্রপতি
খ) স্পিকার
গ) ডেপুটি স্পিকার
ঘ) প্রধানমন্ত্রী
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১২. প্রশাসনকি কাঠামোর পদসোপাননীতি অনুযায়ী সর্বনিম্ন প্র্রশাসনিক কর্মকর্তা কে?
ক) বিভাগীয় কমিশনার
খ) সহকারী সচিব
গ) জেলা প্রশাসক
ঘ) উপ সচিব
সঠিক উত্তর: (খ)

১৩. প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেন কে?
ক) স্পিকার
খ) ডেপুটি স্পিকার
গ) প্রধান বিচারপতি
ঘ) রাষ্ট্রপতি
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১৪. বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব বিষয়ক কর্মকর্তা কে?
ক) জেলা প্রশাসক
খ) মেয়র

গ) বিভাগীয় কমিশনার
ঘ) রাজস্ব কর্মকর্তা
সঠিক উত্তর: (গ)

১৫. বর্তমানে একটি ইউনিয়ন কয়টি ওয়ার্ডে বিভক্ত?
ক) তিন
খ) পাঁচ
গ) আট
ঘ) নয়
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১৬. রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা রয়েছে যেকোনো দন্ড –
i. মওকুফ করার
ii. হ্রাস করার
iii. স্থগিত করার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

১৭. বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে –
i. জেলা প্রশাসন
ii. পৌরসভা
iii. সিটি কর্পোরেশন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)

১৮. সরকারের কয়টি অঙ্গ রয়েছে?
ক) দুইটি
খ) তিনটি
গ) চারটি
ঘ) পাঁচটি
সঠিক উত্তর: (খ)

১৯. জেলা প্রশাসক তার কাজের জন্য কার কাছে দায়ী?
ক) স্থানীয় সংসদ সদস্যের
খ) সংসদের
গ) বিভাগীয় কমিশনারের
ঘ) সরকারের
সঠিক উত্তর: (গ)

২০. শাসন বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয় সংসদে –
i. নিন্দা প্রস্তাবের মাধ্যমে
ii. মুলতুবি প্রস্তাবের মাধ্যমে
iii. অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২১. কোনটি প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান?
ক) উপজেলা পরিষদ
খ) জেলা পরিষদ
গ) পৌরসভা
ঘ) ইউনিয়ন পরিষদ
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২২. এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা আছে এমন দেশের উদাহরণ নিচের কোনটি?
ক) যুক্তরাষ্ট্র
খ) যুক্তরাজ্য
গ) ভারত
ঘ) বাংলাদেশ
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২৩. সংবিধানের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দেয় কোন বিভাগ?
ক) বিচার
খ) শাসন
গ) নির্বাহী
ঘ) আইন
সঠিক উত্তর: (ক)

২৪. বর্তমানে বাংলাদেশে মোট কতটি পৌরসভা আছে?
ক) ৩০০
খ) ৩১০
গ) ৩১৬
ঘ) ৩২৫
সঠিক উত্তর: (গ)

২৫. জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীরা কাদের ভোটে নির্বাচিত হন?
ক) জনগণের
খ) মন্ত্রিদের
গ) সংসদ সদস্যদের
ঘ) সংসদের মহিলা সদস্যদের
সঠিক উত্তর: (গ)

২৬. বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি ইউনিয়ন পরিষদ আছে?
ক) ৪,৬৫২
খ) ৪,৪৬০
গ) ৪,৪৬৮
ঘ) ৪,৪৮০
সঠিক উত্তর: (গ)

২৭. দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে –
i. যুক্তরাষ্ট্রে
ii. ভারতে
iii. ব্রিটেনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২৮. বাংলাদেশের সংবিধানের কোন সংশোধনী অনুযায়ী জাতীয় সংসদের মোট আসন সংখ্যা ৩৫০ করা হয়েছে?
ক) দ্বাদশ
খ) ত্রয়োদশ
গ) চতুর্দশ
ঘ) পঞ্চদশ
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২৯. স্থানীয় শাসন বলতে বোঝায় –
i. ইউনিয়ন শাসনব্যবস্থাকে
ii. জেলা শাসনব্যবস্থাকে
iii. উপজেলা শাসনব্যবস্থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)

৩০. কোনটির ওপর জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব ন্যস্ত?
ক) সংবিধানের
খ) আদালতের
গ) সংসদের
ঘ) পুলিশের
সঠিক উত্তর: (খ)

৩১. কাকে কেন্দ্র করে মন্ত্রিসভার গঠন ও কার্যাবলি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়?
ক) রাষ্ট্রপতিকে কেন্দ্র করে
খ) প্রধানমন্ত্রকে কেন্দ্র করে
গ) জাতীয় সংসদকে কেন্দ্র করে
ঘ) জেলা প্রশাসনকে কেন্দ্র করে
সঠিক উত্তর: (খ)

৩২. প্রধানমন্ত্রী কীভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করেন?
ক) রাষ্ট্রপতির সাথে পরামর্শ করে
খ) সংসদ সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে
গ) একক ক্ষমতা ও ইচ্ছা মোতাবেক
ঘ) সংসদ সদস্য ও স্পিকারের পরামর্শ মোতাবেক
সঠিক উত্তর: (গ)

৩৩. বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?
ক) পার্লামেন্ট
খ) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি
গ) কংগ্রেস
ঘ) জাতীয় সংসদ
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩৪. জনাব কবির একজন সংসদ সদস্য। তিনি কোন ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন?
ক) মন্ত্রীকে
খ) সেনাপ্রধানকে
গ) ডেপুটি স্পিকারকে
ঘ) বিচারপতিকে
সঠিক উত্তর: (গ)

৩৫. একটি জেলা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা কতজন?
ক) ১৩
খ) ২১
গ) ১৮
ঘ) ১৭
সঠিক উত্তর: (খ)

৩৬. বাংলাদেশে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয় কোন সংশোধনীর মাধ্যমে?
ক) একাদশ
খ) দ্বাদশ
গ) ত্রয়োদশ
ঘ) চতুর্দশ
সঠিক উত্তর: (খ)

৩৭. বাংলাদেশের সংবিধান এ পর্যন্ত কতবার সংশোধন করা হয়েছে?
ক) ১৩
খ) ১৪
গ) ১৫
ঘ) ১৬
সঠিক উত্তর: (গ)

৩৮. স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে –
i. কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যভার লাঘব হয়
ii. জাতীয় নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়
iii. আমলাতান্ত্রিক রাজধানী টিকিয়ে রাখার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

৩৯. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রধান কর্মকর্তা কে?
ক) সচিব
খ) জেলা প্রশাসক
গ) বিভাগীয় কমিশনার
ঘ) অতিরিক্ত সচিব
সঠিক উত্তর: (গ)

৪০. সুপ্রিম কোর্টের এটর্নি জেনারেলকে কে নিয়োগ দেন?
ক) প্রধানমন্ত্রী
খ) স্পিকার
গ) রাষ্ট্রপতি
ঘ) ডেপুটি স্পিকার
সঠিক উত্তর: (গ)

৪১. বাংলাদেশে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থাটি প্রবর্তিত?
ক) যুক্তরাষ্ট্রীয়
খ) প্রাদেশিক
গ) এককেন্দ্রিক
ঘ) বহুকেন্দ্রিক
সঠিক উত্তর: (গ)

৪২. একটি ইউনিয়ন পরিষদে থাকবেন –
i. একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান
ii. দশজন নির্বাচিত সাধারণ সদস্য
iii. তিনজন নির্বাচিত মহিলা সদস্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

৪৩. বর্তমানে জাতীয় সংসদের আসন কতটি?
ক) ৩০০
খ) ৩১৫
গ) ৩৪৫
ঘ) ৩৫০
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৪৪. কোনটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারের সবচেয়ে কার্যকর প্রতিষ্ঠান?
ক) গ্রাম সরকার
খ) ইউনিয়ন পরিষদ
গ) উপজেলা প্রশাসন
ঘ) বিভাগীয় প্রশাসন
সঠিক উত্তর: (খ)

৪৫. জাতীয় সংসদের ওপর ন্যস্ত –
i. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
ii. ন্যায়পাল নির্বাচন
iii. রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)

৪৬. জেলা পরিষদের ঐচ্ছিক কাজ কোনটি?
ক) উপজেলা ও পৌরসভাকে সহায়তা
খ) জেলার সকল উন্নয়ন কার্যক্রমের পর্যালোচনা
গ) বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত
ঘ) আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি
সঠিক উত্তর: (গ)

৪৭. রাষ্ট্রীয় অর্থব্যয়ে জাতীয় সংসদ –
i. তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখে
ii. প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে
iii. প্রয়োজনে অনুমতি দেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৪৮. পুলিশ বিভাগে কর্মরত একজন সদস্য অসদুপায় অবলম্বন করল। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মূল কর্তৃত্ব কোন বিভাগের?
ক) আইন বিভাগ
খ) শাসন বিভাগ
গ) বিচার বিভাগ
ঘ) আপিল বিভাগ
সঠিক উত্তর: (খ)

৪৯. আমাদের জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন কতটি?
ক) ১৫
খ) ৪৫
গ) ৫০
ঘ) ৩০
সঠিক উত্তর: (গ)

৫০. প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে কে নিয়োগ দেন?
ক) প্রধানমন্ত্রী
খ) রাষ্ট্রপতি
গ) অর্থমন্ত্রী
ঘ) স্পিকার
সঠিক উত্তর: (খ)

PDF File Download From Here

📝 সাইজঃ-276 KB 

📝 পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 7

Download From Google Drive

Download

Direct Download 

Download

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here