নবম -দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অধ্যায় – ১২:বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অর্থনৈতিক নির্দেশক সমূহ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রকৃতি | সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতি

এস. এস. সি বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অধ্যায় – ১২:অর্থনৈতিক নির্দেশক সমূহ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রকৃতি

এই নোট টির ডাউনলোড লিংক পোস্টের নিচে পাবেন

অর্থনৈতিক নির্দেশক সমূহ

কোনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা জানতে হলে সে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন, মোট অভ্যন্তরীণ বা দেশজ উৎপাদন ও জনগণের মাথাপিছু আয় জানা প্রয়োজন। এগুলোকে বলা হয় অর্থনৈতিক নির্দেশক। কারণ, এগুলো অর্থনৈতিক অবস্থা নির্দেশ করে। দেশের অর্থনীতি পূর্ববর্তী অবস্থার তুলনায় এগিয়ে যাচ্ছে, পিছিয়ে যাচ্ছে নাকি একই অবস্থায় আছে তা উক্ত নির্দেশকসমূহের মান দ্বারা বোঝা যায়।

 

কোনো দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা জানতে হলে সে দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন, মোট অভ্যন্তরীণ বা দেশজ উৎপাদন ও জনগণের মাথাপিছু আয় জানা প্রয়োজন। এগুলোকে বলা হয় অর্থনৈতিক নির্দেশক। কারণ, এগুলো অর্থনৈতিক অবস্থা নির্দেশ করে। দেশের অর্থনীতি পূর্ববর্তী অবস্থার তুলনায় এগিয়ে যাচ্ছে, পিছিয়ে যাচ্ছে নাকি একই অবস্থায় আছে তা উক্ত নির্দেশকসমূহের মান দ্বারা বোঝা যায়।

মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP)

কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের জনগণ মোট যে পরিমাণ চুড়ান্ত দ্রব্য বা সেবা উৎপাদন করে তার অর্থমূল্যকে মোট জাতীয় উৎপাদন বলে। জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারী ও কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উৎপাদন/আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত দেশি নাগরিক, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন/আয় অন্তর্ভুক্ত হবে।

মোট দেশজ উৎপাদন (GDP)

মোট দেশজ উৎপাদন (Gross Domestic Product: GDP) হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের অভ্যন্তরে বা ভৌগোলিক সীমানার ভিতরে বসবাসকারী সকল জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের অর্থমূল্যের সমষ্টি। এতে উক্ত সীমানার মধ্যে বসবাসকারী দেশের সকল নাগরিক ও বিদেশি ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের মূল্য অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে বিদেশে অবস্থানকারী ও কর্মরত দেশের নাগরিক/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না।

বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহ

কোনো দেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য প্রধানত সে দেশের অর্থনীতির প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। অর্থনীতির প্রকৃতি আবার দেশের ভূ-প্রকৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদ, জনগণের শিক্ষা ও দক্ষতার স্তর এবং তাদের উদ্যম ও উদ্যোগ গ্রহণের মানসিকতা এসবের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের অর্থনীতি অতি প্রাচীন কাল থেকেই কৃষিপ্রধান বা কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকসমূহ

বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামো অপর্যাপ্ত ও অনুন্নত। জনসংখ্যাধিক্যম শিক্ষার নিম্নহার ও বেকারত্ব দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সমস্যা। দেশের ব্যাপক জনগণের কারণে জীবনযাত্রার মান নিচু।

উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা হিসেবে মোট জাতীয় উৎপাদন

যে কোনো দেশের অর্থনীতিতে জনগণের প্রয়োজনের ভিত্তিতে নানাবিধ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত দ্রব্যের বিভিন্নতার কারণে যোগ করে এগুলোর মোট পরিমাণ নির্ণয় করা যায় না। তাই মোট জাতীয় উৎপাদনের পরিমাণ নির্ণয় করতে হলে প্রতিটি দ্রব্য ও সেবার মোট উৎপাদনের পরিমাণকে তার বাজার দাম দিয়ে গুণ করা হয়। এইভাবে প্রাপ্ত প্রতিটি দ্রব্য ও সেবার আর্থিক মূল্যের সমষ্টিকে মোট জাতীয় উৎপাদন বলে। 

উৎপাদনের উপকরণের অর্জিত আয় হিসেবে মোট জাতীয় উৎপাদন

উৎপাদনের উপকরণের অর্জিত আয় হিসেবে মোট জাতীয় উৎপাদন পরিমাপ করতে হলে উৎপাদনের উপাদানসমূহের মোট আয়ের সমষ্টি নির্ণয় করা হয়। ভূমি, শ্রম, মূলধন ও সংগঠন- উৎপাদনের এই চারটি উপাদানের আয় যথাক্রমে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা। এক বছরে কোনো দেশের জাতীয় আয় ঐ বছরে উৎপাদনের উপাদানসমূহের অর্জিত মোট  খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফার সমষ্টির সমান।

সমাজের মোট ব্যয় হিসাবে মোট জাতীয় উৎপাদন

সমাজের মোট ব্যয়ের ভিত্তিতেও মোট জাতীয় উৎপাদন নির্ণয় করা যায়। এই পদ্ধতি অনুসারে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে দেশের সমস্ত ধরনের ব্যয় যোগ করলে মোট জাতীয় উৎপাদনের আর্থিক মূল্য পাওয়া যায়। কোনো দেশের মোট আয় দু’ভাবে ব্যয়িত হয়- (i)ভোগদ্রব্য ও সেবা কেনার জন্য এবং (ii) বিনিয়োগ করার জন্য। ব্যয়কারীদের প্রধানত তিন শ্রেনিতে বিন্যাস করা যায়ঃ দেশের সরকার, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং জনগণ। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে সরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং বেসরকারি ভোগ ব্যয় ও বিনিয়োগের ব্যয়ের সমষ্টি ঐ সময়ে ঐ দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন।

মাথাপিছু আয়

মাথাপিছু আয় হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নাগরিকদের গড় আয়। মাথাপিছু আয় দুইটি পৃথক মান দ্বারা নির্ধারিত হয়ঃ (১) মোট জাতীয় আয় এবং (২) মোট জনসংখ্যা। 

কয়েকটি দেশের জিএনপি, জিডিপি ও মাথাপিছু আয়ের তুলনা

আমরা জানি, যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক সে দেশের জনগণের মাথাপিছু আয়। তবে একটি দেশ উন্নত, অনুন্নত নাকি উন্নয়নশীল, তা নির্ধারনের জন্য মাথাপিছু জাতীয় আয় বা মাথাপিছু আয় ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেমন, অর্থনীতির প্রকৃতি অর্থাৎ অর্থনীতি কৃষি প্রধান না কি শিল্পায়ন ঘটেছে, স্বাক্ষরতা, শিক্ষার হার, জনগণের স্বাস্থ্য সেবার প্রাপ্যতা, অর্থনৈতিক অবকাঠামোর ঊর্ধ্বমূখী উন্নয়ন ঘটেছে কিনা অর্থাৎ পরিবহন, যোগাযোগ সুবিধা এবং মূলধন গঠন ও বিনিয়োগের হার ঊর্ধমুখী কিনা এসবও বিবেচ্য বিষয়। 

তবে বিশ্বব্যাংক মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে পৃথিবীর দেশগুলোকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করেছে। এগুলো হচ্ছেঃ উচ্চ আয়ের দেশ, মধ্য আয়ের দেশ এবং নিম্ন আয়ের দেশ। মধ্য আয়ের দেশগুলোকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ উচ্চ মধ্য আয়ের দেশ এবং নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন

কোনো দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন ব্যায় বৃদ্ধির সাথে দীর্ঘ সময় ধরে মাথাপিছু প্রকৃত আয়ের বৃদ্ধিকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলে। এই অব্যাহত প্রকৃত আয় তখনই সম্ভব যখন কোনো দেশের অর্থনীতির কাঠামোগত এবং প্রকৃতিগত পরিবর্তন ঘটে। অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক অবকাঠামোর পরিবর্তন এবং উৎপাদন ও বন্টন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন। আবার প্রকৃতিগত পরিবর্তন বলতে কৃষিপ্রধান অবস্থা থেকে শিল্পপ্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হওয়াকে বোঝায়। এর ফলে দেশ গ্রামীণ অর্থনীতি থেকে শহরভিত্তিক অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়। জনগণের আয় বৃদ্ধি পায়। সঞ্চয় ও মূলধন গঠনের হার এবং বিনিয়োগও বৃদ্ধি পায়। ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়, বেকারত্ব হ্রাস পায় এবং উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পায়। জীবনযাত্রার মানে ক্রমাগত উন্নতি হতে থাকে। এই সার্বিক উন্নত অবস্থাকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলে।

উন্নত দেশ

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে এবং এই উন্নয়ন দীর্ঘ মেয়াদে অব্যাহত আছে এমন দেশকে বলে উন্নত দেশ। উন্নত দেশসমূহের জনগণের মাথাপিছু আয় খুব বেশি। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হারও বেশি এবং সে কারণে জীবনযাত্রা অত্যন্ত উন্নত। এসব দেশে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো অত্যন্ত উন্নত, শিল্পখাত সম্প্রসারিত, পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থনীতির অনুকূল। দেশের সকল জনগণের আবাসন, শিক্ষাসুবিধা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয়। শিক্ষার প্রসারের ফলে জ্ঞান-বিজ্ঞানও দ্রুত প্রসার লাভ করে এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়।

উন্নয়নশীল দেশ

বিশ্বের উন্নত ও অনুন্নত দেশসমূহের মধ্যপর্যায়ে আরেক ধরণের দেশ আছে- যেগুলোকে বলা হয় উন্নয়নশীল দেশ। এসব দেশে মাথাপিছু প্রকৃত আয় উন্নত দেশসমূহের তুলনায় অনেক কম। উন্নয়নশীল দেশসমূহে অনুন্নত অর্থনীতির অধিকাংশ বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষিখাতের প্রাধান্য, শিল্পখাতের অনগ্রসরতা, ব্যাপক বেকারত্ব, পরিবহন, যোগাযোগ ও বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা, শিক্ষার নিম্নহার, মূলধন গঠন ও বিনিয়োগের নিম্নহার, নিম্ন মাথাপিছু আয় ও দারিদ্র্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার ইত্যাদি। 

বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় অধ্যায় – ১২ এর বহুনির্বাচনী প্রশ্ন পিডিএফ ডাউনলোট

১. আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবসময়ই কোন অবস্থায় থাকে?
ক) সামঞ্জস্যপূর্ণ
খ) অনুকূলে
গ) ঘাটতি
ঘ) লাভজনক
সঠিক উত্তর: (গ)

২. বর্তমানে বাংলাদেশকে কোন ধরনের দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়?
ক) শিল্পপ্রধান দেশ
খ) কৃষিপ্রধান দেশ
গ) কৃষি ও শিল্পপ্রধান দেশ
ঘ) কৃষি ও শিল্পনির্ভর দেশ
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩. নতুন শিল্প স্থাপনে বড় প্রতিবন্ধকতা –
i. বিদেশি সাহায্য ও অনুদানের অভাব
ii. দক্ষ উদ্যোক্তা ও পুঁজির অভাব
iii. শিল্প সহায়ক অবকাঠামোগত দুর্বলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

৪. উন্নত দেশ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের সাথে কেমন সম্পর্ক গড়তে পারে?
ক) অনুকূল
খ) প্রতিকূল
গ) সামঞ্জস্যপূর্ণ
ঘ) সৌহার্দ্যপূর্ণ
সঠিক উত্তর: (ক)

৫. কোনটি সামাজিক অবকাঠামোর অন্তর্ভুক্ত?
ক) পরিবহণ
খ) বিদ্যুৎ
গ) বিমা
ঘ) স্বাস্থ্য
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৬. সাধারণ শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা অল্পের কারণ হলো –
i. জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার
ii. জনগণের সাক্ষরতার নিম্নহার
iii. কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৭. কৃষিক্ষেত্রে জমিদারি প্রথা চালু হয় কোন বন্দোবস্তের মাধ্যমে?
ক) একসনা
খ) পাঁচসনা
গ) দশসনা
ঘ) চিরস্থায়ী
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৮. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বলা যায় –
i. আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ঘাটতি দেশ
ii. রপ্তানি বাণিজ্যে প্রধানত উন্নত দেশগুলোর সাথে সম্পন্ন হয়
iii. সার্কভুক্ত দেশগুলোর সাথেও রপ্তানি বাণিজ্য রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৯. অর্থনীতির খাত বলতে অর্থনীতিতে বোঝায় অর্থনীতির বিভিন্ন –
i. শাখাকে
ii. অংশকে
iii. বৈশিষ্ট্যকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

১০. কোনটি উন্নত দেশ?
ক) ভারত
খ) সুইডেন
গ) তুরস্ক
ঘ) ব্রাজিল
সঠিক উত্তর: (খ)

১১. মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে নরওয়ে কী ধরনের দেশ?
ক) মধ্য আয়ের
খ) উচ্চ আয়ের
গ) উচ্চ মধ্য আয়ের
ঘ) নিম্ন মধ্য আয়ের
সঠিক উত্তর: (খ)

১২. আমাদের দেশে অর্থনীতিতে এখনো অন্যতম প্রধান খাত কী?
ক) কৃষি
খ) শিল্প
গ) ব্যবসায়
ঘ) সেবা
সঠিক উত্তর: (ক)

১৩. কত সালে জাতীয় কৃষিনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে?
ক) ১৯৯৭
খ) ১৯৯৮
গ) ১৯৯৯
ঘ) ২০০০
সঠিক উত্তর: (গ)

১৪. দেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা জানা যায় কোন হিসাব থেকে?
ক) জাতীয় আয়
খ) জাতীয় ব্যয়
গ) জাতীয় উৎপাদন
ঘ) নিট জাতীয় উৎপাদন
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১৫. সুইজারল্যান্য ও ফ্রান্সের জনগণের মাথাপিছু আয় সর্বোচ্চ। এ দুটি দেশ কোনটিতে উন্নত?
ক) শিল্পে
খ) কৃষিতে
গ) বাণিজ্যে
ঘ) শিল্প ও বাণিজ্যে
সঠিক উত্তর: (ঘ)

১৬. উন্নত দেশসমূহ যতই উন্নতির পথে অগ্রসর হয় ততই তাদের –
i. ব্যবস্থাপনা উন্নত হয়
ii. উৎপাদন পদ্ধতি উন্নত হয়
iii. কৃষি ব্যবস্থা আধুনিক হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

১৭. মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক পৃথিবীর দেশগুলোকে কয় ভাগে বিভক্ত করেছে?
ক) দুই ভাগে
খ) তিন ভাগে
গ) চার ভাগে
ঘ) পাঁচ ভাগে
সঠিক উত্তর: (খ)

১৮. বাংলাদেশের শিক্ষায় জেন্ডার সমতা, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কী ধরনের দেশের অন্তর্ভুক্ত করা যায়?
ক) উন্নত
খ) উন্নয়নশীল
গ) স্বল্পোন্নত
ঘ) অনুন্নত
সঠিক উত্তর: (খ)

১৯. আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ অতিমাত্রায় যেটির ওপর নির্ভরশীল –
i. বৈদেশিক ঋণের ওপর
ii. বৈদেশিক অনুদানের ওপর
iii. দেশীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

২০. দেশে অবস্থিত বিদেশি জনগণের আয় বেশি হলে কী ঘটবে?
ক) GDP > GNP
খ) GDP < GNP
গ) GDP = GNP
ঘ) কোনটিই নয়
সঠিক উত্তর: (খ)

২১. কী কারণে দেশের উন্নয়নে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী আশানুরূপ অবদান রাখতে পারে না?
ক) শিক্ষা ব্যবস্থায় ত্রুটি
খ) অহংকারী হয়ে ওঠে
গ) সুযোগের অভাব
ঘ) কাজে ফাঁকি দেয়
সঠিক উত্তর: (ক)

২২. কোন সংস্থা মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে পৃথিবীর দেশগুলোকে বিভক্ত করেছে?
ক) জাতিসংঘ
খ) এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক
গ) বিশ্বব্যাংক
ঘ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক
সঠিক উত্তর: (গ)

২৩. দেশের শ্রমশক্তির মোট কত শতাংশ কৃষিখাতে নিয়োজিত?
ক) ১৭.৩১
খ) ২৪.৭৩
গ) ২৮.৪০
ঘ) ৪৩.৬০
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২৪. কয়টি উপাদান থেকে একটি দেশের জাতীয় আয় হিসাব করা হয়?
ক) দুইটি
খ) তিনটি
গ) চারটি
ঘ) পাঁচটি
সঠিক উত্তর: (গ)

২৫. জাতীয় সম্পদ হিসাবের সময় –
i. দেশের ভিতরের বিদেশি মালিকানাধীন সম্পদ বাদ দিতে হয়
ii. বিদেশি দেশি মালিকানাধীন সম্পদ যোগ করা হয়
iii. বিদেশি দেশি মালিকানাধীন সম্পদ বাদ দিতে হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

২৬. ‘জাতীয় শিল্পনীতি – ২০১০’ এ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে –
i. ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে
ii. ছাত্র উপস্থিতির হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে
iii. ঝড়ে পড়া রোধে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২৭. ২০০৫-০৬ সালে কৃষিখাতে অবদান হ্রাস পাওয়ার কারণ কোনটি হতে পারে বলে তুমি মনে কর?
ক) কৃষিখাতে সরকারি ঋণ হ্রাস পেয়েছে
খ) কৃষি উৎপাদন পূর্বের তুলনায় কমেছে
গ) কৃষিখাতে কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে
ঘ) কৃষির তুলনায় অন্যান্য খাতে উৎপাদন বেড়েছে
সঠিক উত্তর: (ঘ)

২৮. প্রধানত ব্যয়কারীদের কয়টি শ্রেণিতে বিন্যাস করা যায়?
ক) দুইটি
খ) তিনটি
গ) পাঁচটি
ঘ) ছয়টি
সঠিক উত্তর: (খ)

২৯. বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে অবস্থান করছে কত অংশ লোক?
ক) এক-পঞ্চমাংশ
খ) দুই-পঞ্চমাংশ
গ) দুই-তৃতীয়াংশ
ঘ) এক-চতুর্থাংশ
সঠিক উত্তর: (খ)

৩০. জাপানের মাথাপিছু আয় কত?
ক) ৩২৭৭৮ মার্কিন ডলার
খ) ৪২১৫০ মার্কিন ডলার
গ) ৩৬০৩১ মার্কিন ডলার
ঘ) ৩৮৭৪৯ মার্কিন ডলার
সঠিক উত্তর: (খ)

৩১. আমাদের জাতীয় উৎপাদনের কত ভাগ কৃষি থেকে আসে?
ক) প্রায় ২১%
খ) প্রায় ১৯.৯৫%
গ) প্রায় ৩৫%
ঘ) প্রায় ৪০%
সঠিক উত্তর: (খ)

৩২. ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু জাতীয় আয় কত ছিল?
ক) ৫৮,০০০ টাকা
খ) ৫৮,০০০ ডলার
গ) ৮১৮ টাকা
ঘ) ৮৯০ ডলার
সঠিক উত্তর: (ক)

৩৩. (মোট দেশজ উৎপাদন + বিদেশে অবস্থানরত দেশি জনগণের আয়) – দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আয় = ?
ক) মোট উৎপাদন
খ) মোট জাতীয় উৎপাদন
গ) মোট দেশজ আয়
ঘ) মোট আয়
সঠিক উত্তর: (খ)

৩৪. খনিজ সম্পদ কোনটি?
ক) সিলিকা বালু
খ) নদনদীর পানি
গ) সামুদ্রিক মাছ
ঘ) সুন্দরী কাঠ
সঠিক উত্তর: (ক)

৩৫. জাপানের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় কত ইউএস ডলার?
ক) ৫৩,৬১৯ ডলার
খ) ৪২,১৫০ ডলার
গ) ২৪,১৫০ ডলার
ঘ) ২৪,৯৪০ ডলার
সঠিক উত্তর: (খ)

৩৬. ২০১০-১১ অর্থবছরে শতকরা কত ভাগ সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করা হয়েছে?
ক) ৪.০১ ভাগ
খ) ৪.১৫ ভাগ
গ) ৬.১৫ ভাগ
ঘ) ৬.০৯ ভাগ
সঠিক উত্তর: (ক)

৩৭. অনুন্নত দেশে প্রাধান্য দেখা যায় –
i. কুটির শিল্পের
ii. ভারী শিল্পের
iii. ক্ষুদ্র শিল্পের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) iii
গ) i ও iii
ঘ) ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

৩৮. স্বল্পোন্নত দেশ বলা হয় – i. নেপালকে ii. বাংলাদেশকে iii. ভারতকে নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i
খ) ii
গ) iii
ঘ) i ও ii
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৩৯. অবকাঠামোর জন্য অত্যাবশ্যক –
i. সিমেন্ট শিল্প
ii. বিদ্যুৎ উৎপাদন
iii. জ্বালানি শিল্প
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)

৪০. সেবা খাতের অন্তর্গত কোনটি?
ক) হাসপাতাল
খ) ব্যাংক
গ) বিদ্যালয়
ঘ) শপিংমল
সঠিক উত্তর: (খ)

৪১. একটি দেশের অর্থনীতি ও অর্থনীতির অবস্থা জানার জন্য জানা দরকার সে দেশের –
i. মোট জাতীয় উৎপাদন সম্পর্কে
ii. নিয়োগকৃত মোট শ্রম ও মূলধন সম্পর্কে
iii. মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদন সম্পর্কে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (গ)

৪২. অনুন্নত দেশে জনগণের বৃহত্তর অংশই বঞ্চিত হয় –
i. শিক্ষা থেকে
ii. স্বাস্থ্য থেকে
iii. যোগাযোগ সেবা থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (ক)

৪৩. দেশের দ্রুত শিল্পায়ন নিশ্চিত করার জন্য সরকার কোন শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে?
ক) পাট শিল্প
খ) ক্ষুদ্র শিল্প
গ) মাঝারি শিল্প
ঘ) বৃহৎ শিল্প
সঠিক উত্তর: (খ)

৪৪. সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে কোন দেশে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ সর্বোচ্চ?
ক) ভারতে
খ) পাকিস্তানে
গ) নেপালে
ঘ) শ্রীলঙ্কায়
সঠিক উত্তর: (ক)

৪৫. বিশ্বের যেকোনো অর্থনীতিকে প্রধান কয়টি খাতে ভাগ করা যায়?
ক) দুইটি
খ) তিনটি
গ) চারটি
ঘ) পাঁচটি
সঠিক উত্তর: (খ)

৪৬. মোট জাতীয় উৎপাদনের অংশ কোনটি?
ক) নিট জাতীয় উৎপাদন
খ) মাথাপিছু আয়
গ) রপ্তানি
ঘ) দেশি ও বিদেশি আয়সমূহ
সঠিক উত্তর: (ক)

৪৭. মোট জাতীয় আয় পরিমাপের ক্ষেত্রে একটি গার্মেন্টস কারখানার কোন দ্রব্যটির দাম বিবেচনা করা হয়?
ক) তুলা
খ) সুতা
গ) কাপড়
ঘ) শার্ট
সঠিক উত্তর: (ঘ)

৪৮. ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় কত ছিল?
ক) ৩৭৭ মার্কিন ডলার
খ) ৮১৮ মার্কিন ডলার
গ) ৮১৮ মার্কিন ডলার
ঘ) ৮৮০ মার্কিন ডলার
সঠিক উত্তর: (খ)

৪৯. সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের কম ভূমিকার প্রভাব –
i. যৌতুক প্রথার বৃদ্ধি
ii. পারিবারিক সহিংসতা
iii. অধিকসংখ্যক সন্তানের জন্মদান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii
সঠিক উত্তর: (খ)

৫০. কত সালে পলাশী যুদ্ধ সংঘটিত হয়?
ক) ১৬৫৭
খ) ১৭৩৯
গ) ১৭৫৭
ঘ) ১৮৫৭
সঠিক উত্তর: (গ)

PDF File Download From Here

📝 সাইজঃ-284 KB 

📝 পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 7

Download From Google Drive

Download

Direct Download 

Download

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here