২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে SMS এবং অনলাইনে ভর্তির আবেদন পদ্ধতি। www.xiclassadmission.gov.bd

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সার্কুলার ও প্রয়োজনীয় সকল তথ্য জেনে নিন।

সরকারি-বেসরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকাশিত নীতিমালা অনুসারে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া ১৩/০৫/২০১৮ থেকে শুরু হয়ে ২৪/০৫/২০১৮ (শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণের পর ফলাফল পরিবর্তিতদের ক্ষেত্রে তারা ০৫/০৬/২০১৮ থেকে ০৬/০৬/২০১৮) পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে) আবেদন প্রক্রিয়া শেষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১ম পর্যায়ে নির্বাচিতদের তালিকা বা ফলাফল ১০/০৬/২০১৮ তারিখে প্রকাশ করা হবে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাশ শুরু হবে ১ জুলাই ২০১৮ তারিখ থেকে।
বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হবে। গতবারের মত এবারো এসএমএস এর পাশাপাশি অনলাইনেও অাবেদন করা যাবে তবে এবার প্রার্থী সর্বনিম্ন ০৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজের জন্য আবেদন করতে পারবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য।

আবেদনের যোগ্যতাঃ- ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের দেশের যে কোন শিক্ষাবোর্ড থেকে এসএসসি উত্তীর্ণরা এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

কোন কলেজে কতটি সিট খালি আছে দেখে নিন

প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতিঃ-

  • প্রার্থী নির্বাচনে কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

  • বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৮৯ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অবশিষ্ট আসনের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তান, ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থী, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য, ০.৫ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এবং অপর ০.৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। যদি উপর্যুক্ত কোটায় প্রার্থী না পাওয়া যায় টবে সাধারণ কোটার শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের সনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে। শিক্ষা, বিকেএসপি এবং প্রবাসীদের সন্তান কোটার ক্ষেত্রে ভর্তির সময় উপযুক্ত প্রমানপত্র দাখিল করতে হবে।

  • সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।

  • বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে। প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ ও রসায়নে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় নিতে হবে।

  • মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান জিপিএ নিষ্পত্তির জন্য পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত জিপিএ বিবেচনা করা হবে।

  • এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট গ্রেড পয়েন্ট একই হলে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।

  • স্কুল ও কলেজ সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিজ প্রতিষ্ঠানের স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) ভর্তির সুযোগ পাবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূন্য আসনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে। তবে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ভর্তিই অনলাইন হবে।

আবেদনের সময়সীমাঃ আবেদন প্রক্রিয়া ১৩/০৫/২০১৮ থেকে শুরু হয়ে ২৪/০৫/২০১৮ (শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণের পর ফলাফল পরিবর্তিতদের ক্ষেত্রে ০৫/০৬/২০১৮ থেকে ০৬/০৬/২০১৮) পর্যন্ত চলবে।

কলেজ পছন্দক্রম সাজানোর পরামর্শঃ-

অনলাইনে আবেদনের সময় ঠিকঠাকমত পছন্দের কলেজের তালিকা তৈরী করতে না পারাই অনেকেই তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারে না। এক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারলে আশা করি এই জামেলাটা হবে না।

তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে আমরা আমাদের ১০ টি কলেজের লিস্ট তৈরী করবোঃ-

প্রথমেই আপনাকে ভাবতে হবে যে আপনার পয়েন্ট নিয়ে মানে আপনার অর্জিত GPA এর উপরই নির্ভর করবে আপনার পছন্দের কলেজে চান্স পাবেন কি না।সেই হিসেবে আপনার যেই কলেজে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা বেশী সেই কলেজের নামটা দিবেন। তারপর যেই কলেজে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেই কলেজের নামটা দিবেন ২য় নাম্বারে । ঠিক একইভাবে আপনার পরবরর্তী ৮টি পছন্দের কলেজের নাম সিলেক্ট করে দিবেন ।

কলেজের নামগুলি সিলেক্ট করার সময় ঐ কলেজের ডিমান্ড মানে কত পয়েন্ট হলে চান্স পাওয়া যাবে তার সম্পর্কে একটু অবগত হয়ে নিবেন। কিছু কিছু কলেজ আছে যারা তাদের কলেজে আবেদনের জন্য সর্বনিম্ন কত পয়েন্ট লাগবে তা উল্লেখ করে দেই। আর যদি আপনি ঐইসব কলেজগুলা সম্পর্কে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন যে আপনি কোন কলেজে চান্স পাবেন আর কোন কলেজে চান্স পাবেন না।

আবেদন ফিঃ অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১ টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০/- টাকা চার্জ করবে আবার ১০টি কলেজে আবেদন করলেও ১৫০/- চার্জ করবে। (শুধুমাত্র এসএমএসে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হবে)

১ম মেধা তালিকার ফলাফল প্রকাশঃ ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের ১ম মেধাক্রম ১০/০৬/২০১৮ এসএমএস এবং স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে  (www.xiclassadmission.gov.bd) প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চয়নঃ ১১/০৬/২০১৮ থেকে ১৮/০৬/২০১৮ পর্যন্ত।

২য় পর্যায়ে নতুন আবেদন ও মাইগ্রেশন আবেদন (অপশন প্রদান):-  ১৯/০৬/২০১৮ থেকে ২০/০৬/২০১৮ পর্যন্ত।

২য় মেধা তালিকার ফলাফল প্রকাশঃ ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের ২য় মেধাক্রম ২১/০৬/২০১৮ এসএমএস এবং স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে  (www.xiclassadmission.gov.bd) প্রকাশ করা হবে।

২য় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চয়নঃ ২২/০৬/২০১৮ থেকে ২৩/০৬/২০১৮ পর্যন্ত।

৩য় পর্যায়ে নতুন আবেদন ও মাইগ্রেশন আবেদন (অপশন প্রদান):- ২৪/০৬/২০১৮

৩য় মেধা তালিকার ফলাফল প্রকাশঃ ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের ৩য় মেধাক্রম ২৫/০৬/২০১৮ এসএমএস এবং স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে  প্রকাশ করা হবে।

৩য় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চয়নঃ ২৬/০৬/২০১৮

ভর্তির সময়সীমাঃ মনোনীতদের তালিকা প্রকাশের পর ২৭/০৬/২০১৮ থেকে ৩০/০৬/২০১৮ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হবে।

ক্লাশ শুরুঃ- ১ জুলাই ২০১৮ তারিখ থেকে।

শাখা নির্বাচনঃ বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যেকোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এবং ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।

আবেদন পদ্ধতিঃ অনলাইন ও এসএমএস এ অাবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদনের পূর্বে শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র টেলিটক মোবাইল (প্রি-পেইড) ব্যবহার করে অন-লাইনের আবেদন ফি SMS এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। প্রার্থীকে তার এসএসসি/সমমানের পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে টেলিটক সিম এর মাধ্যমে ১৫০/- টাকা ফি জমা প্রদান করতে হবে।

এর জন্য টেলিটক মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে এভাবে-

CAD<space>WEB<space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের Board এর নামের প্রথম তিন অক্ষর<space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের Roll<space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের Year<space>এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের Reg. No. লিখে 16222 নম্বরে সেন্ড করতে হবে।

ফিরতি এসএমএস এ আবেদনকারীর নাম এবং আবেদন ফি বাবদ ১৫০ কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন কোড প্রদান করা হবে।

ফি প্রদানে সম্মত থাকলে ম্যাসেজ অপসন এ গিয়ে CAD<space>YES<space>PIN<space>CONTACT NUMBER (বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত মোবাইল নম্বর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

ফি সঠিকভাবে জমা হলে প্রার্থীর মোবাইলে নিশ্চিতকরণের একটি Transaction ID সহ SMS যাবে।

অনলাইনে আবেদন : অনলাইনে এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে- www.xiclassadmission.gov.bd  অনলাইনে ভর্তি আবেদনে পছন্দের ১০টি কলেজকে নির্বাচন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

অনলাইনে নিজে নিজে আবেদন করতে নিচের ভিডিওটি দেখুন

Apply Now

আপনি যদি খুব বেশি না বোঝেন তাহলে আশেপাশের কোন কম্পিউটারের দোকানে চলে যান তারাই সব কিছু করে দিবে। তবে কলেজ বাছাই এর ক্ষেতে অবশ্যই সিনিয়র কারো সাহায্য নিবেন। আর না হলে সামান্য ভুলের কারণে আপনার পছন্দমতো কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here