সংজ্ঞা:- বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝার জন্য বাক্যের মধ্যে বা বাক্যের সমাপ্তিতে কিংবা বাক্যে আবেগ জিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে বাক্য-গঠনে যেভাবে বিরতি দিতে হয় এবং লেখার সময় সময় বাক্যের মধ্যে তা দেখানোর জন্য যেসব সাংকেতিক ব্যবহার করা হয়, তা-ই যতি বা ছেদ চিহ্ন (বিরাম চিহ্ন)। উল্লেখ্য যে বাংলা সাহিত্যে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রথম বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করেন।
যতি বা ছেদ চিহ্ন নিয়ে আরো কিছু তথ্য জেনে রাখুন
- যতি চিহ্ন মোট ১২ টি। ব্যাকরণিক চিহ্ন (৪টি)
- পূর্ণ বাক্যের শেষে বসে এমন বিরাম চিহ্নের সংখ্যা ৪ টি।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাঁর ‘বোতল পঞ্চবিংশতি’ (১৮৪৭) গ্রন্থ প্রথম যতিচিহ্নের ব্যবহার দেখান।
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আগে বাংলা গদ্য বা কবিতায় শুধু পূর্ণচ্ছেদ বা দাঁড়িজ্ঞাপক চিহ্নটি (এক দাঁড়ি বা দুই দাঁড়ি) ছিলো।
- বিরাম বা যতি চিহ্ন ‘বাক্যতত্ত্বে’ আলোচিত হয়।
বাংলা একাডেমির প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ(২য় খণ্ড, পৃঃ২২৭, ২য় সংস্করণ,২০১২) অনুযায়ী যতি বা ছেদ চিহ্ন ১৬ টি।
এখন আমরা শিখবো কিভাবে বিরাম চিহ্নের বিরতি কাল কৌশলে মনে রাখা যায়। নিচের লাইনটি একদম মুখস্থ করে নিন, তার পর বিরাম চিহ্নের বিরতি কাল সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন সমাধান করার চেষ্টা করুন। দেখবেন এখন আর একটি ও ভূল হবেনা।
বিরাম চিহ্নের বিরতিকাল মনে রাখার কৌশল ঃ কোলন ড্যাস (কোলন, ড্যাস, কোলন ড্যাস) দাঁড়ির, জিজ্ঞাসা শুনে এক সেকেন্ড বিস্ময়ে দাড়িয়ে রহিলেন। তখন হাইফেন, ইলেক ও ব্রাকেট বলল আমাদের দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। কমা, উদ্ধরন করল আমাকে এক বলতে হবে। কিন্তু সেমিকোলন বলল আমাকে এক এর দ্বিগুন বলতে হবে।
- এক বলতে সময় লাগে – ২ টি ( উদ্ধরণ, কমা)
- এক বলার দ্বিগুণ সময় লাগে- ১টি (সেমিকোলন)
- থামার প্রয়োজন নেই- ৩ টি (হাইফেন, ইলেক, বন্ধনী)
- এক সেকেন্ড থামতে হয়- ৬ টি (দাঁড়ি, প্রশ্নবোধক, বিস্ময়, কোলন, ড্যাশ, কোলন-ড্যাশ)
নিচের টেবিলটিতে একটু চোখ বুলিয়ে নিন।